কক্সবাজার, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

বোরো আবাদে ভোগান্তি..

উখিয়ায় লোডশেডিংয়ে সেচ সংকট

মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া বার্তা ডটকম::
উখিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ সংকটে কৃষকরা সময়মতো বোরো চারা রোপণ করতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতি মৌসুমে অনিশ্চিত হয়ে পড়া প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে উপজেলার কৃষকরা।
রাজাপালং ইউনিয়নের হাজীরপাড়া, দোছরী, হরিণমারা ও হারাশিয়া এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিন রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ মেলে না। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে পানি উত্তোলন তো দূরের কথা অচল হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ সেচ পাম্প।
হরিণমারা গ্রামের শামশুল আলম, আলী আকবর, মুফিজ মিয়াসহ একাধিক কৃষক অভিযোগ করেন, বিদ্যুতের অভাবে তারা এখনো পর্যন্ত জমি চাষাবাদের উপযোগী করে তুলতে পারেননি। বীজতলায় পানি না থাকায় চারাগুলো মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
হাজীর পাড়া গ্রামের কৃষক শামশু হাজিসহ অন্যরা জানান, পানিশূন্যতার কারণে অধিকাংশ জমি প্রয়োজনীয় পরিচর্যার মাধ্যমে চাষাবাদের উপযোগী করে তোলা হলেও চারা উত্তোলন সম্ভব না হওয়ায় বোরো চারা রোপণ করা যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে উখিয়া পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে যাতে পানি সরবরাহের জন্য কৃষকের দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, সে ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে শরণার্থী ক্যাম্পে যেভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে তাতে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিদ্যুৎ থাকলেও নলকূপে পানি পাওয়া না পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে চাষাবাদের ফলন উৎপাদন নিশ্চিত করা।
উপজেলা কৃষি অফিসার প্রসেনজিত্ তালুকদার বলেন, উপজেলায় ইতিমধ্যে দুই তৃতীয়াংশ জমিতে বোরো চারা রোপণ সম্ভব হয়েছে। বিদ্যুৎ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বোরো ভালো উৎপাদন হবে।

পাঠকের মতামত: